ঢাকা,বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

টেকনাফে ডাকাতের আস্তানা খুঁজতে পাহাড়ে ড্রোন উডাল র‌্যাব

মনির আহমদ, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি ::  কক্সবাজারের টেকনাফে ডাকাতের আস্তানা খুঁজতে পাহাড়ে ড্রোন উড়িয়েছে র‍্যাব। রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোতে সক্রিয় ডাকাতের সংঘবদ্ধ দল রয়েছে। ডাকাতি ছাড়াও তারা অপহরণ, ধর্ষণ, ছিনতাই, মাদক ব্যবসায় জড়িত।

প্রশাসনের ধারনা এসব দলের মূলহোতা রোহিঙ্গা ডাকাত আবদুল হাকিম। শীর্ষ রোহিঙ্গা হাকিমসহ তাদের মূল আস্তানা হচ্ছে, ক্যাম্পসংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায়। সেই ধারাবাহিকতায় ২৫ অক্টোবর শুক্রবার সকাল ৭ টায় থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত টেকনাফের বাহারছড়া টইগ্যা পাহাড়সহ বেশ কয়েকটি দূর্গম পাহাড়ে অভিযান চালায় র‌্যাব-১৫ ।

ড্রোন ওড়িয়ে পাহাড়ে ডাকাত দলের আস্তানার তথ্য সংগ্রহ করেন। পরে পাহাড়ে ডাকাতদের কয়েকটি স্থানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান তারা। তবে ডাকাতদের আস্তানার কিছু তথ্যর সন্ধান পান। তদন্তের স্বার্থে এসব তথ্য এখন বলা যাচ্ছেনা বলে জানিয়েছেন অভিযান পরিচালনাকারির প্রধান র‌্যাব-১৫ অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ।

অভিযানে র‌্যাব-১৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর রবিউল হাসান, সিপিএসসি কোম্পানী কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান, সিপিএসসি স্কোয়াড কমান্ডার এডিশনাল এসপি বিমান চন্দ্র কর্মকার, সিপিসি-১ কোম্পানী কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মির্জা শাহেদ মাহতাব (এক্স), বিএন, সিপিসি-২ কোম্পানী কমান্ডার এএসপি শাহ আলম সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

র‌্যাব সুত্রে জানা যায়, টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোর সংলগ্ন পাহাড়ে ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্যরা সাধারণ রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের জিম্মি করে প্রায়ই লুটপাট চালায়। এ ছাড়া ডাকাত দলের কোনো কোনো সদস্য আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর পরিচয়ে রোহিঙ্গাদের বাসায় ঢুকে মালপত্র লুট ও অপহরনের অভিযোগ রয়েছে। ক্যাম্পের ভেতরে ও বাইরে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও হামলা চালায় তারা। টেকনাফে প্রথম ড্রোন ওড়িয়েছে র‌্যাব-১৫। অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদের নেতৃত্বে র‌্যবের টিম বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে ক্যাম্প গুলোর সংলগ্ন বাহারছড়া ইউনিয়নের টইগ্যা পাহাড়সহ কয়েকটি পাহাড়ে অভিযান চালায়। এসময় কোন ডাকাতকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে ড্রোন ওড়িয়ে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানান র‌্যাব সদস্যরা।

উল্লেখ্য, গত ২০ অক্টোবর রাতে টেকনাফ বাহাছড়া ইউনিয়নের শীলখালী মাঠপাড়া এলাকার ‘হেডম্যান’ আবুল কালামের বসত বাড়ীর দরজা ভেঙ্গে স্কুল ছাত্রী লাকি (১২) ও তসলিমা(১৪) দুই কিশোরী মেয়েকে অপহরণ করে গহীন পাহাড়ে নিয়ে যায়। দুই দিন পর ডাকাত দলের সদস্যরা তাদের ছেড়ে দিয়েছিল।

এ ব্যাপারে র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ বলেন, ‘টেকনাফের রোহিঙ্গা বসতি পাহাড়ি এলাকায় বর্তমানে রোহিঙ্গা হাকিম বাহিনীর অবস্থানের খবর রয়েছে। তারা পাহাড়ি এলাকায় নিজস্ব আস্তানায় গড়ে অপহরন, খুন ও ধর্ষনের মত অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে। এই হাকিম বাহিনীর গ্রুপকে আটকের জন্য পাহাড়ে প্রাথমিক ভাবে আমরা অভিযান পরিচালনা করলাম।

তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে টেকনাফ রোহিঙ্গা বসতির পাহাড়ি এলাকায় র‌্যাব হেলিকপ্টারের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করবে।#

পাঠকের মতামত: